বিসিএস নন-ক্যাডার পরীক্ষা কী?
বিসিএসের মধ্যে ২৮ ধরণের ক্যাডার পদ রয়েছে। এর বাইরে সরকারি কর্মকমিশন যেসকল নিয়োগ প্রদান করে সেগুলো নন-ক্যাডার।
বিসিএস এর নন-ক্যাডার বলতে প্রতিটা বিসিএসে বিজ্ঞপ্তির অন্তর্ভুক্ত ক্যাডার পদগুলোর বাইরে যে নিয়োগ হয় তারাই নন-ক্যাডার। ৪৫ বিসিএসের মধ্যেই দেখুন। ক্যাডার ভুক্ত পদ আছে ২৩০৯ টি। এর বাইরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জন্য শূন্য পদ আছে ১০২২ টি। ২৩০৯ ক্যাডারের বাইরে বাকি ১০২২ টি হলো নন-ক্যাডার। এবারই প্রথম পিএসসি শুরুতেই নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করে দিলো। এর আগে শূন্য পদের ভিত্তিতে পিএসসির সুপারিশক্রমে বিভিন্ন সময়ে নন-ক্যাডার প্রার্থীদের চাকরি দেয়া হতো।
ক্যাডার আর নন-ক্যাডারের মূল তফাৎ থাকে ক্ষমতা, পদোন্নতি, এবং সুযোগ-সুবিধার মধ্যে।
নন-ক্যাডারের উপরের পদগুলো মূলত ব্লক পোস্ট হয় এবং ওনারা কখনো নীতিনির্ধারক পর্যায়ে যেতে পারেন না। এছাড়া নন-ক্যাডার পদ ৯ম এবং ১০ম গ্রেড উভয়ই হতে পারে। যোগদানের সময় বেতন এবং আনুষাঙ্গিক মূল ভাতাসমূহ একই থাকে ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার উভয়ের জন্যেই।
অন্যদিকে, ক্যাডার পদে যারা যোগদান করেন তারা রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের আমলা হয়ে থাকেন। তাদের পদোন্নতি স্বাভাবিক এবং সহজেই তারা ৩য় গ্রেড পর্যন্ত যেতে পারেন প্রায় সকল ক্যাডাররাই। যদিও ক্যাডারের মধ্যে কিছু কিছু ক্যাডারের পদোন্নতি খুবই ধীরগতির। তাছাড়া ক্যাডার সবাই ৯ম গ্রেড হিসেবে যোগদান করেন এবং উপরের দিকে ক্যাডারগুলোতে (পররাষ্ট্র, পুলিশ, প্রশাসন, কর, বাণিজ্য) আনুষাঙ্গিক ভাতা অনেক বেশি থাকে।
যারা ক্যাডার তারাই একসময় সচিব, যুগ্মসচিব এসব হয়ে থাকেন। অন্যদিকে নন-ক্যাডারদের এমন কোনো সুযোগ নেই।
তবে সুবিধা বিবেচনায় কিছু কিছু নন-ক্যাডার পদ শেষেরদিকের ক্যাডার পদের চেয়েও লোভনীয় হয়ে থাকে। এরকম কিছু নন-ক্যাডার পদ হলো নির্বাচন অফিসার, সাব-রেজিস্ট্রার (৯ম গ্রেড), শিক্ষা কর্মকর্তা ইত্যাদি৷

.jpg)